Introduction To Blockchain Technology

Introduction To Blockchain Technology

ব্লকচেইনের ইতিবৃত্ত

ব্লকচেইন কি?

তোমরা নিশ্চয় বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন Bitcoin কিংবা Etherum এর নাম শুনেছ। এগুলোর সাথে আরও একটি টার্ম রয়েছে যেটি হচ্ছে ব্লকচেইন। ব্লকচেইন (Blockchain), শব্দটি শুনলেই মনে হবে যে শিকল জাতীয় কিছু। হ্যাঁ, ঠিক-ই ধরেছ ব্লকচেইন মূলত দুইটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ব্লক (Block) ও চেইন (Chain) অর্থাৎ ব্লকচেইন শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘ব্লক এর তৈরি শিকল’ বা অনেকগুলো ব্লক-কে চেইন আকারে সাজানো।

ব্লকচেইন এর ইতিহাস:

সাতোশি নাকামোটো, যার আসল পরিচয় এখনও পর্যন্ত অজানা, তিনি ২০০৮ সালে প্রথম ব্লকচেইনের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। নাকামোটোর হ্যাশক্যাশ-এর ​​মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিজাইনটি উন্নতি ও বিকশিত হতে থাকে। এটি শেষ পর্যন্ত বিটকয়েনের একটি প্রাথমিক উপাদান হয়ে ওঠে যেটি এখনকার একটি অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি। এরপর আরও অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি আসতে থাকে।

ব্লকচেইন শিখে আমাদের লাভ-টা কি?

১। উচ্চ চাহিদা
2। প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ
৩। নিরাপদে প্ল্যাটফর্ম এবং সিস্টেম জুড়ে ব্যবহারকারীর ডেটা স্থানান্তর করতে।

এছাড়াও আরও অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই সেক্টরটি তে।

ব্লকচেইন হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে প্রত্যেকটি লেনদেন একটির সাথে একটি যুক্ত করে একেকটি ব্লক হিসেবে চেইন আকারে রাখা হয়। ব্লকচেইন প্রযুক্তি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নিরাপদ প্রযুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ এখানে সব কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যার ফলে এখানে কোন হিসাব কারচুপি হবার সম্ভাবনা নেই অথবা কোন হ্যাকার বা অসাধু চক্র হিসাবে গরমিল করতে পারবে না। এছাড়াও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ সরাসরি একজন হতে আরেকজন বা (P2P) পিয়ার টু পিয়ার ট্রান্সফার হয়। যার কারণে এখানে কোন তৃতীয় পক্ষ; যেমন একটা উদাহারন দিলে আমাদের দেশের বিকাশ কিংবা রকেট এর মতো থার্ড পার্টির সহায়তা লাগবে না।

ব্লকচেইন প্রযুক্তির ঝুঁকি:

তবে এখানে একটি সমস্যাও রয়েছে, যেহেতু এখানে লেনদেনের উপর কোনো তৃতীয় পক্ষ নজরদারি রাখছে না সেক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার হতে পারে। যার ফলে বর্তমান সময়ে এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা থাকলেও অনেক দেশের সরকার মনে করে যে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে অবৈধ লেনদেন যেমনঃ চোরাচালান, অবৈধ অর্থ পাচার ইত্যাদি অবৈধ কাজ এর সংখ্যা বাড়বে।

ব্লকচেইন এর প্রকারভেদ:

ব্লকচেইন মূলত ৪ ধরনের।

১। পাবলিক ব্লকচেইন (Public Blockchain): পাবলিক ব্লকচেইন হল উন্মুক্ত। অর্থাৎ যে কেউ এখানে ট্রানজেকশন করতে পারবে এবং যে ট্রানজেকশন টি ভ্যালিডেট করবে (Miner) সে পুরস্কার পাবে। পাবলিক ব্লকচেইন এর মধ্যে Bitcoin এবং Ethereum (ETH) অন্যতম।

২। প্রাইভেট ব্লকচেইন (Private Blockchain): এই ব্লকচেইন গুলো উন্মুক্ত নয়। এগুলা ব্যবহার করার জন্য সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর এর পারমিশন লাগে। এগুলো সাধারণত একটি সত্ত্বা দ্বারা পরিচালিত হয়, যার অর্থ তারা কেন্দ্রীভূত। Hyperledger একটি অন্যতম প্রাইভেট ব্লকচেইন।

৩। হাইব্রিড ব্লকচেইন বা কনসোর্টিয়াম (Hybrid Blockchain or Consortium): এই ধরনের ব্লকচেইন হল পাবলিক ও প্রাইভেট ব্লকচেইন এর সমন্বয়। যেমন Energy Web Foundation, Dragonchain ইত্যাদি।

৪। সাইডচেইনস (Sidechains): একটি সাইডচেইন ব্লকচেইন হল যা মূল চেইনের সমান্তরালে চলছে। এটি ব্যবহারকারীদের দুটি ভিন্ন ব্লকচেইনের মধ্যে ডিজিটাল সম্পদ স্থানান্তর করতে দেয় এবং স্কেলেবিলিটি এবং দক্ষতা উন্নত করে। সাইডচেইনের একটি উদাহরণ হল Liquid Network।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমনকি ব্লকচেইন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতাও হচ্ছে, যেমন ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রত্যেক বছর অনুষ্ঠিত হয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।